আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক মহল মনে করছেন, সরকারের ওপর আঞ্চলিক চা’প সৃষ্টি করা হতে পারে এবং সরকার যে পদক্ষে’পগুলো নিচ্ছে, সে পদক্ষে’পের কারণে রাজনৈতিক অ’ঙ্গন উত্তাপ হতে পারে। রাজনৈতিক এই উত্তাপকে রাজনৈতিকভাবে মো’কাবেলা করার জন্য আওয়ামী লীগও প্র’স্তুত হচ্ছে।
ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগ সারাদেশে সাংগঠনিক তৎপরতা বৃ’দ্ধির উদ্যো’গ গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি আগামী ২১শে ফেব্রুয়ারি থেকে মা’র্চ পর্যন্ত মুজিব বর্ষ উদযাপন, বঙ্গব’ন্ধুর জ’ন্মশতবার্ষিকী উদযাপন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ রাজনীতির মাঠ দখলে রাখতে চায়। এখানে বিএনপিকে কোন সুযোগ দিতে চায় না।
স’ম্প্রতি জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বা’তিল করার সিদ্ধা’ন্ত নেয়া হয়ছে। সরকার ইতিমধ্যেই বিএনপি’র ব্যাপারে তাদের ক’ঠোর অব’স্থান জানিয়েছেন। বিশেষ করে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনগুলো নিয়ে বিএনপি যে মাঠ গরম করার চেষ্টা করছে সেটি ক্ষ’মতাসীন আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে মো’কাবেলা করার চিন্তাভাবনা করছে এবং সে অনুযায়ী উদ্যো’গ গ্রহণ করছে।
এ কারণেই ২১শে ফেব্রুয়ারির পরপরই আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির গু’রুত্ব পূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলের ভেতর বিশৃ’ঙ্খলা, বিরো’ধ এবং অন্তঃকলহ ব’ন্ধ করার জন্য ক’ঠোর ভাবে নির্দে’শনা দিচ্ছেন।
আগামী কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ ব্যাপারে আরো বেশ কিছু গু’রুত্ব পূর্ণ সিদ্ধা’ন্ত গ্রহণ করা হবে। সংগঠনের অন্তঃকলহ ব’ন্ধ করে বিরো’ধী রাজনৈতিক দল যেন রাজপথ দখলে না নিতে পারে, সেজন্য আওয়ামী লীগ ক’ঠোর অব’স্থানে যাবে বলেও আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জা’নিয়েছে।
জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বা’তিল হলে আওয়ামী লীগ রাজপথে সভা-সমাবেশ এবং বিভিন্ন ক’র্মসূচির মাধ্যমে এই সরকারি পদক্ষে’পকে অভিনন্দন এবং স্বাগত জা’নাবে বলেও আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো নি’শ্চিত করেছে।
সংশ্লি’ষ্ট সূত্রগুলো বলছে, আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড মনে করে যে রাজনৈতিক ক’র্মসূচির মাধ্যমে সংগঠনকে উজ্জীবিত রাখা যায় এবং রাজনৈতিক ক’র্মসূচি থাকলেই সংগঠনের অন্তঃকলহ দূ’র হয়ে যায়। ইতিমধ্যেই অন্য সহযোগী সংগঠনগুলোকে বিভিন্ন ক’র্মসূচি নিয়ে মাঠে নামা’র নির্দে’শ দেয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, করো’না র কারণে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ক’র্মসূচি ব’ন্ধ ছিল। পরবর্তীতে সীমিতভাবে ক’র্মসূচি পা’লন করা হয়েছে। এখন ধীরে ধীরে আম’রা বিভিন্ন সাংগঠনিক কার্যক্রমের মধ্যে যাব। তিনি বলেন, যেহেতু মুজিব বর্ষ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে এবং ১৭ মা’র্চ জাতির পিতার জ’ন্মশতবার্ষিকী, সেজন্য আওয়ামীলীগ কিছু বর্ণাঢ্য ক’র্মসূচি রাখবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এসব ক’র্মসূচি মূলত রাজপথ দখলকে কে’ন্দ্র করে আওয়ামী লীগ বিএনপিকে কোনো সুযোগ দিতে চায়না। কারণ, বিএনপি এখন নির্বাচন, জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বা’তিলসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আন্দোলনের ক’র্মসূচি দিতে চাইছে। এই ক’র্মসূচি রাজনৈতিকভাবে মো’কাবেলা করার জন্য আওয়ামী লীগও প্র’স্তুত হচ্ছে।সূত্র: বাংলা ইনসাইডার